আমি রৌনক হোসেন
আদতে বাবা মা ভালোবেসে নাম রেখেছিল খুশি
খুশি মানে আকাশ ,খুশি মানে প্রজাপতি ,খুশি মানে বৃষ্টির ফোঁটা
অথচ কিছুদিন আগেও আমার সারা শরীরে ,সারা সময়ে ছিল শুধুই কালি
শুধু সবার কাছে তখন আমি বন্ধ্যা
লোকে বলতো আমি নাকি বাজা মেয়েছেলে
সমাজ আমাকে বলতো আমি নাকি পাপ ,আমি নাকি কলঙ্ক ।
.
প্রশ্ন করি ধর্মাবতার
সত্যি যদি আমি বাজা হই ,সত্যিই যদি বংশের প্রদীপ আমি না দিতেই পারি
আমি কি পাপী ?
ধর্মাবতার নিকাহের পাঁচ বছর পরেও সত্যিই যদি আমি সন্তানহীনা হই
সেটা কি আমারি কলঙ্ক ?
আচ্ছা ধর্মাবতার সন্তান জন্ম দিতে যতটুকু দরকার
তার সবটুকু শুধু কি নারীরই
পুরুষের কি সেখানে কোনোই ভূমিকা নেই।
.
আমি রাজদণ্ড বুঝি না ,আমি মানদন্ড বুঝি না
আমি সামাজিকতার কোনো উচ্চারণে পবিত্র হতে চাই নি
তাই আমি সামাজিক গঞ্জনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পুরানো নিকাহ খারিজ করেছি
এবং আবারও নিকাহ করেছি একবছর হলো
অথচ দেখুন আজ আমি এক পুত্রের জননী।
এখন প্রশ্ন ,এই যে সামাজিক গঞ্জনা ,এই যে সামাজিক বঞ্চনা
এ সব শুধু কি এই সমাজের শুধুই নারীত্বের
কি সহজে সমাজ ,সময় কোনও রমণীকে বাজা বলতে পারে
কি সহজে কোনো বাজা মহিলাকে অন্য পুরুষ শোয়ার জন্য সন্তানের লোভ দেখাতে পারে
কি সহজে কোনো পুরুষ সন্তান না হওয়ার সমস্ত দায় তার স্ত্রীকে দিতে পারে।
আমি না হই রৌনক হোসেন
আমি না হয় প্রতিবাদ করতে পেরেছি ,
আমি না হয় খুশি ,
আমি খুশি থাকতে নিজের হাবিবিকে তালাক করেছি ,
কিন্তু প্রশ্ন হলো সবাই কি পারিপার্শিক চাপে প্রতিবাদ করতে পারে ?
সবাই কি আমার মতো বেঁচে উঠে খুশি থাকতে পারে ?
সমাজ কি পারে নপংসক পুরুষের রাজদণ্ডের উপর থুথু ছিটিয়ে বলতে
তুই বাজা
তুই পাপী
তুই কলঙ্ক ।
.
তুই নপংসক
... ঋষি
No comments:
Post a Comment