Sunday, June 21, 2020

কম্পাস





কম্পাস 
... ঋষি 

মাথার ভিতর প্রতিটা কোষে শুয়ে আছে রাস্তা 
অসংখ্য দ্রাঘিমাংশ খুলে কম্পাসে কাঁটা দিকভ্রষ্ট উচ্চারণে। 
ঘুরে করেছি শহরের রাস্তায় অনবরত স্খলন  
খালি পায়ে ,ঝাপসা চোখে দেখা 
লাইভ টকিজ 
এইভাবে ভালোবাসবি তুই । 
.
অনুচ্চারিত বৃষ্টির মতো 
গড়িয়ে নামা স্বপ্নের ঢেউ আগামীতে তোর বুকের ভিতর স্নেহ,
কামার্ত পুরুষ যখন ভালোবাসে নারীকে 
তখন সেখানে দাবানল। 
অথচ শৈশব খোঁজে মায়ের স্তন 
কোথাও কি মিল পাস্ চলন্তিকা  বালিয়াড়ি আর সমুদ্রের।
.
মাথার নিউরোনের ভিতর অন্য মানুষ ঘুমিয়ে 
পরিযায়ী বিছানার চাদরে আমার আদরের ফটোফ্রেম ,
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে 
আমি গাছ আর তুই  অরণ্যের মাঝে একলা সবুজ।
বৃষ্টি আসে 
শহরের বারান্দায় অরণ্য তখন টব বন্দি ,
তুই আসিস 
বুকের দশ বই দশ দুটো রুম ,এটাচ বাথরুম সব নকল মনে হয় ,
মুঠোফোনে কাঁদতে থাকে মুক্তি 
আলোয় আলোয় ছুঁয়ে যাওয়া আমার একলা শহর আবার দিকভ্রষ্ট।  
এই কবিতায় কোথাও অরণ্য নেই 
সবখানে তুই 
আর আমি  শুধু কবিতার কম্পাসে রাস্তা খুঁজি। 
  

No comments:

Post a Comment

স্মৃতি গান

কত গুলো স্মৃতিগান,ও পথে রং ছিল, কারণ ছিল  যে কবিতা সময়কে বিপ্লব আঁকতে শিখিয়েছে আজ সে মুখ ফিরিয়ে বোবা এখন এ শহরে কোন ম্যাজিক অবশিষ্ট নেই শহরে...