Sunday, June 28, 2020

দেশলাই


দেশলাই
....ঋষি
আমার রাক্ষস জন্মের পর
কলকাতা হঠাৎ পুরনো ট্রাম লাইন ছেড়ে মেট্র হয়ে গেল,
রেডিওর গোলাম আলি খাঁ গজল ছেড়ে সনম রে গাইতে শিখে গেলেন
পুরনো হারমোনিয়াম বদলে কখন ইউটিউব হয়ে গেল,
আমি কখন যেন হাফপ্যান্ট ছেড়ে ভারতবর্ষ বলে রাষ্ট্রের জনগণ
খুব সাধারণ নাগরিক হয়ে গেলাম।
.
বাড়ন্ত সময়ে হাঁড়ির টান
আমার জন্য বাবা,মা বন্ধু হয়েছিলেন, হয়েছিলেন সমাজ।
আজ অন্ধকারে টর্চ হাতে দেখি
বাবার পুরনো বইয়ের আলমারিতে আরশোলার বাস,
আর আমার ভিতর সমাজ
শুধু ঘুনপোকায় কাটা পুরনো রংচটা পারিবারিক ছবি। 
.
সমাজ খুঁজছি
খুঁজছি ভারতবর্ষ নামক মানচিত্রের সংবিধানে পরিবারের মানে, 
দেখছি আমার ছেলের আঁকার খাতায় রাষ্ট্রের পতাকার অগোছালো রং
আর সময় লিখছে সমাজ ছোট ছোট দেশলাইয়ের কৌটোতে জমানো বারুদে। 
ভেজা আগুন 
আমার রাক্ষস জন্মের নিয়ন্ত্রণের অভ্যেস,
অভ্যেস সাজানো শহরের মুখবন্ধ অভিধানে শান্তি শব্দে বাঁচবার।
অভ্যেস বদলায়
সময় পুরনো হয়ে যায় নতুন সময়ের  লালিপপ মুখে,
শহরের বারান্দায় আকাশটা ইদানীং ছোট মনে হয়। 
মনে হয় চিৎকার করে বলি 
পরিবার মানে সীমান্তে চলতে থাকা গুলির শব্দ নয়
আর সমাজ মানে নয় দেশলাইয়ের কারখানা।  
  
 

No comments:

Post a Comment

স্মৃতি গান

কত গুলো স্মৃতিগান,ও পথে রং ছিল, কারণ ছিল  যে কবিতা সময়কে বিপ্লব আঁকতে শিখিয়েছে আজ সে মুখ ফিরিয়ে বোবা এখন এ শহরে কোন ম্যাজিক অবশিষ্ট নেই শহরে...