Sunday, January 12, 2020

মহাবিশ্ব


মহাবিশ্ব
... ঋষি

কোনো এক শতাব্দী পরে ,যদি শতাব্দী লিখি
তুই ভাববি আমার কবিতায় ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।
পর্যটনের নেশা নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে যদি গিয়ে দাঁড়াই  আমি পাহাড়ি উচ্চতায়
তুই ভাববি হিসেবের দিনক্ষণ ছেড়ে আমি অন্তিম যাত্রার প্রস্তুতিতে।
আদৌ কি এমন হয়
জানি মানুষের ভাবনাগুলো সময় নির্ভর
আর মানুষ বড় অসহায় সময়ের কাছে।
.
আমরা জন্মান্তরে শুধু মাত্র বাঁচার তাগিদ নিয়ে আসি
একপাশের পুরুষ ,অন্য পাশে বাগদত্তা নারী মাঝখানে তফাৎ অন্য গ্রহে
যেকানে নক্ষত্রদ্বয় দ্বন্দ করে ,চুমু খায়
আবৃত্ত হয়
জন্ম দেয়
তারপর মহাবিশ্বে হারিয়ে যাওয়ার বৃত্তান্ত।
এই বিশাল পরিসরে মানুষ চিৎকার করে আত্মা আত্মা
কিংবা মন মন করে গলা ফাটায়
মানুষ ভুলে যায় মানুষের বাঁচাগুলো পাজেলের মতো
হাজারো টুকরোতে নির্ভরশীল।
.
আমরা নক্ষত্রের মতো মহাবিশ্বে ভেসে
সময়ের বিশ্ছিন্নপর্ব বুকে করে নিয়ে আমরা নিরলস নিজেদের বলয়ে।
নক্ষত্রের মৃত্যুর মতো  আমাদের মৃত্যু স্থির সময়ের কালবেলায়
শুধু স্টেশনে দাঁড়ানো ট্রেন
স্টেশন বদলায়।
মানুষ নিজেদের মুখোমুখি হওয়ার সুখে
হাজারো দুঃখে
কথায় কথায় দিন কেটে যায়।
ট্রেন চলতে থাকে
চলতে চলতে  সরতে থাকে গন্তব্য থেকে
তারপর দিন কেটে যায়।
তোর মতো আমার মতো হাজারো মানুষ শুধু সেই ট্রেনের যাত্রী
জানলা থেকে সরতে  থাকা সময়
তারপরে আমাদেরও অন্যের মতো করে  দিন কেটে যায় । 

No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...