Thursday, January 2, 2020

সামাজিক


সামাজিক
.... ঋষি

অনেক কিছু খুলে বসে আছে মেয়েটা
নিজের অর্ধনগ্ন শরীরে ,ক্ষতবিক্ষত যোনিতে হাত বুলিয়ে বুঝে উঠছে 
সে এখনো জীবিত  ।
বিছানার ওপাশে শুয়োরের মতো নাক ডেকে চলেছে তার পুরুষ
সামাজিক পুরুষ
যার কাছে মেয়েটা বাড়ি ,জমি এমন সম্পত্তির মতো দখল মাত্র।

মেয়েটা ছুটে  গেলো ওয়াশরুমে
সময়ের কলখুলে গুমরে কেঁদে উঠলো তার জানা পুরুষদের প্রতি।
মেয়েটা ছোটবেলা থেকে বাবাকে মাকে বলতে শুনেছে
মাগি তোর মেয়েটা তো দিন দিন ডাবকা হচ্ছে তোর মতো।
নিজের আত্নীয় পুরুষদের সময়সুযোগ মতো শরীরে আনাচকানাচে
অদ্ভুত ভাবে ছুঁয়ে দেওয়া দেখেছে।
দেখেছে বিয়ের পর তার সামাজিক পুরুষকে
নিয়মমাফিক নেশারপর বিছানায় তাকে সামাজিক ধর্ষণে ছিঁড়ে ফেলতে।

বিষণ্ণ উইকিপিডিয়ার শরীরের পাশে বসে আছে মেয়েটা
সে সফর করছে তার জানা পুরুষের গ্রহগুলো একের পর এক।
সমস্ত পুরুষ  স্পর্শ  পৃথিবীর গভীরে গিয়ে তুলে আনছে তার কাছে  লাভার আঙুল
যেখানে তাপমাত্রা মাপা যায়  থার্মোমিটারে,
অথচ হৃদয়ের পারদে মেয়েটার কষ্টগুলো চিৎকার করছে।
ট্রমা সেন্টার থেকে বেজে ওঠা সাইরেন
মেয়েদের বয়স শরীর ছুঁলেই এই সমাজের খিদে বেড়ে যায়।
আয়নার কাঁচে যতই সুন্দর হোক মেয়েদের শরীরে পাঁপড়িগুলো
সেই পাঁপড়ি ছিঁড়ে ,পিষে দেওয়ার লোভ চিরকার সময়ের।
মেয়েটার চোখ দিয়ে ঝরে পড়ছে রক্ত
মেয়েটার ক্ষতবিক্ষত যোনিকে সাক্ষী রাখছে সমাজের রীতিনীতি।
মেয়েটা হাসছে
নীলাকাশ থেকে তার ঝরে  পড়ছে সাবেক সানাই স্মৃতি ,চন্দন লেপা মুখ ,
মেয়েটা হাসছে চিৎকার করে
সারা ওয়াশরুম ভেসে যাচ্ছে রক্তে ,পাশে পরে থাকা ব্লেডটা সাক্ষী
মেয়েটা এগোচ্ছে শান্তির দিকে।
ভিতরের ঘরে বিছানার থেকে মেয়েটার সামাজিক পুরুষ চিৎকার করছে
শালী তাড়াতাড়ি আয় আমার আবার উঠেছে।



No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...