Thursday, February 27, 2020

নষ্ট ঈশ্বর


নষ্ট ঈশ্বর
... ঋষি



যেহেতু আমি সময়  কিংবা মহাকালে দাঁড়ানো সেই লোকটা
যার হাতের ডুমরুটা আজ বহুদিন নষ্ট হয়ে গেছে।
ঈশ্বর শব্দ করতে ব্যর্থ
তাই মানুষ আজ নিজের মতো করে ধ্বংসে ব্যস্ত।
ঈশ্বর নষ্ট তাই
সময়ের প্রসব বেদনায় যখন তোমার রক্তাক্ত জরায়ু
সেখানে  নোঙর ফেলেছিল তোমার অযোগ্য প্রেমিক।



আমার সাথে সঙ্গমকালে আমার কয়েক ফোঁটা মৃত্যু
তোমার উত্থান হতে পারে নি ,
জানলার পর্দায় রেখে আসা আমার অদ্ভুত সন্তানরা আজ মৃত
সভ্যতার চাকায় আজকাল সব ধুয়ে যায়
ধুয়ে যায় ডিটারজেনে লুকোনো ঈশ্বর।



আমাদের শেষ দেখাতে আমি তাকিয়ে ছিলাম সময়ের গভীর মাটিতে
তোমার ডানায় হাত রেখে আমি ভাসছিলাম
ওপর থেকে দেখা ঈশ্বরের চোখে সময়ের বুক ফাটা কান্নার জন্ম তখন।
হেঁটে এসেছিলাম আমি অন্ধকার শহুরে পথের গুহায়
আমার পায়ে লেগে জন্মের অভিশাপ।



নারী গুহার দাম বেড়েছে গত কয়েকবছরে
সেখানে নাকি জন্ম হয়েছে হাজারো সভ্যতার মৃত সন্তানের মুখ ,
জন্ম নিরোধকের দাম কমেছে
সভ্যতা নারীর হাতে  তুলেদিয়েছে জন্ম নিরোধক পিল।
সত্যি কি জানো
তোমার কষ্টের  মুখ আমাকে দিয়েছে কবিতায় যন্ত্রনা ,
আমি সেই নষ্ট ঈশ্বর
যে তোমার গভীর যোনি থেকে তুলে নিয়েছে সময়ের বিষ।



মন্দিরে আমাকে ঢুকতে চাই নি কখনো
আমার বিশ্বাস ঈশ্বর সর্বদা মানুষ হয়ে যায় মন্দিরে বসে।
আজানের ধ্বনি আমার ভালো লাগে
ভালো লাগে দূর শুনতে পাওয়া তোমার ফিসফিস মিষ্টি হাওয়ায়।
একজন ঈশ্বরের দালালের সাথে আমার কথা হয়েছিল একবার
সে বলছিল বিছানায় ঈশ্বরের ঘুম ভাঙে
নিজের ধ্বংসে
যেমন আমারও ভেঙেছে তোমার সাথে গভীর মিলনে।



আমার সমস্ত ঘৃণা ,সমস্ত অভিশাপ তোমার ডানায় লিখে দিলাম
আমি মানুষের মতো ভালোবাসতে পারবো না কোনোদিন
কারণ ভালোবাসলে আমি ঈশ্বর হয়ে যাই।
আমার ডমরুতে আজ বহুদিন নষ্ট ও নিস্তব্ধ
শুধু জানি না
আর আমার ভাবনায় তুমি কখন  গর্ভবতী হয়ে জন্ম দেও কবিতা।


No comments:

Post a Comment

এইটুকু আলোর জন্য

ঈশ্বরকে বলি ম্যাজিক চাই  বলি মানুষে ঘরে বন্ধ দরজার শহরে আলো চায় চায় শুভেচ্ছা ,চায় পবিত্রতা  আর  সত্যি , বহুবার ভেবেছি সিগারেটের আগুনে পুড়ে য...