Friday, February 26, 2021

অনিন্দ্য (৮)

অনিন্দ্য (৮)
...ঋষি 
অনিন্দ্যকে নিয়ে তখন আমি চাপাডাঙায় বেঁড়ার ঘরে থাকি 
কেন থাকি জানি না, 
অনিন্দ্যকে আমি ভালোবাসিনি কোনদিনই
শুধু অনিন্দ্যের ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ অনুভব করি, 
অনিন্দ্য সারাদিন শুধু কবিতা লেখে 
আমাকে শোনায় 
আমি শুনি অদ্ভুত এক তপস্যা যেন অনিন্দ্যেত কন্ঠে। 
.
বেশ কাটছিল দিনগুলো 
আমার জমানো টাকা, আমার গয়না বিক্রির টাকা তখন প্রায় শেষ, 
অনিকেত এলো একদিন 
প্রশ্ন করলো আমায় এই সব বেলাল্লাপানা, 
আমি চিৎকার করে বলেছিল অনিন্দ্য আমার কেউ নয় 
তবু কেন জানি অনিন্দ্য আমাকে টানে। 
.
ফিরে গেছিলাম সেদিন 
অনিন্দ্যকে ফেলে বুবুনের মুখের দিকে তাকিয়ে, 
অনিন্দ্য শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে ছিল আমার দিকে
একটা সামাজিক নিয়ম যখন খুব সত্যি 
তখন হৃদয় বোধহয় ফালতু সেখানে। 
অনিন্দ্য  সেই পুরুষ যাকে আমি ভালোবাসিনি
অনিন্দ্য সেই পুরুষ  যে আমাকে ভালোবাসতো।
আমি অনিন্দ্যকে ছেড়ে বেরিয়ে আসছি সেদিন 
ঠিক সাড়ে দশটা তখন 
অনিন্দ্য আমাকে ডাকলো কাছে, শুধু বল্লো ভালো থাকিস 
তারপর খুব শান্ত হয়ে আমাকে বল্লো 
"এখন অসুখ নেই, এখন অসুখ থেকে সেরে উঠে
পরবর্তী অসুখের জন্য বসে থাকা। এখন মাথার কাছে
জানলা নেই, বুক ভরা দুই জানলা, শুধু শুকনো চোখ
দেয়ালে বিশ্রাম করে, কপালে জলপট্টির মতো
ঠাণ্ডা হাত দূরে সরে গেছে, আজ এই বিষম সকালবেলা
আমার উত্থান নেই, আমি শুয়ে থাকি, সাড়ে দশটা বেজে যায়। "

No comments:

Post a Comment

পঁচিশে বৈশাখ

যে শহরে তুমি নেই সেখানে তোমার  উদ্‌যাপন  হয় সকলে ছবি সাজায় , ধুপ জ্বালে, গলায় রজনীগন্ধা হারমোনিয়াম বাজে,স্যোসাল লাইভ,মঞ্চ গানে, গাঁথায় পঁচিশ...