তোমাদের পরিচয়
...... ঋষি
===================================================
বুকের ভিতর বাড়তে থাকা ক্ষত
দেরাজে রাখা শুকিয়ে যাওয়া বাসরঘরের রজনীগন্ধার পচা গন্ধ।
জীবন যেখানে বাড়তে থাকা ঘড়ির কাঁটার ফিরে আসা
অথচ না ফোড়ানো কোনো আবদার।
আর পাঁচটা নাগরিক জীবনের মতো ভীষণ সাধারণ আমি
কিন্তু সভ্যতা আমাকে পরিচিত করেছে নারী হিসেবে।
ভেবেছিলাম স্বপ্নের ঘর ,স্বপ্নের সংসার ,স্বামী ,অধিকার ,সন্তান
ভেবেছিল স্বামী সোহাগ ,মাতৃসুখ আর আয়নায় একটা আদুরে মুখ।
কিন্তু আঠারো বছরের সংসারে যে স্পর্শ চিরকাল আমি লালিত করেছি স্বপ্নে
তার এক কণাও মিল পাই নি বাস্তবের এই পরিচয়ে ।
ছোটবেলায় প্রথম ঋতু আমার কাছে একটা ভয় ছিল
ভয় ছিল যখন আমি যখন সন্তানবতি।
আমি যখন খুব ছোট মা বলতেন তুই ভীষণ দুষ্টু ,তোকে নিয়ে আমার ভীষণ ভয়
কিন্তু বিশ্বাস করো আর আমার আজ ভয় করে না।
যে লোকটাকে নিয়ে আমি সংসার করছি সামাজিকতায়
সে শুধু সাথে আছে ,কিন্তু আমাকে এত দিনেও স্পর্শ করতে পারলো কই।
তার নামের সিঁদুর ,তার সন্তানের মা ,তার ঘরণী ,তার বিছানার ব্যবহার
সবকটা আমার সামাজিক পরিচয় কিন্তু আমি ভীষণ অপরিচিত ওই লোকটার কাছে।
আসলে আমি চাই না সে আমাকে স্পর্শ করুক ,আসলে আমি আর চাই না সে আমাকে বুঝুক
এখন শুধু চাই সে ভালো থাকুক ,সকলে ভালো থাকুক।
আমার প্রয়োজন শুধু পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের কাছে শুধু ব্যবহার
আর আমি ব্যবহৃত কোনো সামাজিক রীতি।
বুকের ভিতর বাড়তে থাকা ক্ষত
অতি যত্নে গুছিয়ে রাখা এই বাড়িটা ,এর প্রতি কোন ছুঁয়ে আছি আমি।
আসলে নারী বোধ হয় ভিতরে বাইরে বাড়তে থাকা একটা শরীর
যার পরিচয় এই সমাজের কাছে,পুরুষের কাছে শুধু ব্যবহারে ।
কিন্তু এই নগর সভ্যতা আর সময়ের কাছে আমার প্রশ্ন
আমাদের তো তবু একটা পরিচয় আছে কিন্তু পুরুষ তোমাদের পরিচয় কি ?
No comments:
Post a Comment