Tuesday, June 9, 2015

অস্তরাগের প্রতিবিম্ব

অস্তরাগের প্রতিবিম্ব
................ ঋষি
=====================================================
অস্তরাগের প্রতিবিম্বের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা
তার ছায়াপথ লেখা হলদে ফাটাফুটি অসংখ্য স্পর্শের বৃষ্টি।
ছুঁয়ে যায় ঠিক ,গড়িয়ে নামে চোখের কোনার কালিতে
কবে যে বড় হয়ে গেল মেয়েটা।
.
সামনের কারশেডের নোংরা বিছানা বালিশের সাথে শুয়ে শুয়ে
মেয়েটা জানতে পারলো না তার জন্মের কথা।
তবে যেদিন প্রথম ফরমান কাকু ওকে আদর করলো
চেপে সরল দন্ডটা ওর উরুর  মাঝে।
সেদিন ও জানলো ও ভীষণ দামী হয়ে গেছে
উরুর থেকে গড়িয়ে পড়লো রক্ত ,বয়স্ক আরমান কাকুর বুকে মাথা রেখে
মেয়েটা শুনলো তুই ভীষণ মিষ্টি রে
তোকে আজ থেকে আমার সেরা মেয়েছেলে বানাবো ।
.
তারপর কতবার ফরমান কাকুর ইয়ার,দোস্ত ,ক্লাইনটরা  এলো
কতবার ফরমান কাকুর হাত ধরে নতুন নতুন হোটেলে গেলো।
সে সব হিসেব আর মনে নেই মেয়েটার
মেয়েটা জানত ফরমান কাকু তার কাছে ঈশ্বর,
কোথা থেকে কুড়িয়ে এনে  তাকে বড় করলো ,একটা আস্ত শরীর করলো।
মাঝে মাঝে মেয়েটা অবাক হয় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
নিজের বুকে হাত রাখে ,লজ্জা পায় ,হাত দিয়ে চোখ ঢাকে
অথচ কত সহজে ফরমান কাকুরা ওর বুকে হাত দেয়।
.
আজ  ঈদ ,নতুন জামা পরে ফরমান কাকুর হাত ধরে মেয়েটা এগোচ্ছে
ফরমান কাকু ঠেলে দিল তাকে একটা ঘরে।
ছড়াছড়ি মদের গ্লাস ,চারিদিকে ধোঁয়া, চারিদিকে অন্ধকার
এমন মেহফিল মেয়েটার কাছে নতুন নয় ,মোটেই ঘাবড়ালো না সে।
ছজন দস্য মার্কা লোক এগিয়ে এলো ওর দিকে
খুলে যাচ্ছে মেয়েটার নতুন জামা ,সারা শরীরে সাপের মত বিষাক্ত ছোবল।
নিশপিশে হাত একের পর এক মেয়টার বুকের উপর
সারা তলপেট জুড়ে  যন্ত্রণা ,সারা শরীরে দাঁত বসছে ,জ্ঞান হারাচ্ছে মেয়েটা।
.
আজ ঈদ ,মেয়েটা মরে নি বেঁচে আছে তার প্রতিবিম্বের সামনে
তার ছায়াপথে মেয়েটা দেখতে পাচ্ছে সারা শরীরে কালসিটে ,তলপেটে যন্ত্রণা।
ফরমান কাকু মেয়েটাকে কোলে তুলে নিল  ,আজ ঈদ
মেয়েটাকে এবার আদর করবে ফরমান কাকু।
.
(এই কবিতা নিতান্ত আমার কল্পনায় সৃষ্ট। এর সাথে কাউকে ব্যক্তিগত আঘাতের বিন্দু মাত্র ইচ্ছা আমার নেই)

No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...