Thursday, June 18, 2015

হ্যাট পরা মানুষ

হ্যাট পরা মানুষ
................. ঋষি
==================================================

হ্যাট পরা মানুষেরা কই কই থেকে এসে
নিজেকে বাঁচাবার ফন্দীফিকিরগুলো একবার রপ্ত করে।
গোঁফে তা দিতে দিতে দেখে কোনো শপিং মলে  ভ্যানিটি ব্যাগের দৌরাত্ম্য
ছাতিম গাছের শরীরে বেড়ে ওঠা শুয়োপোকারা নিশ্চিন্তে চড়তে থাকে
অদ্ভূত সুরসুরি হয়ে  বুকের পশমে ভরে যেতে থাকে।

অন্ধকার করে এলেই
কোথা  থেকে খুলে যায় সভ্যতার রুপোলি দরগা।
রাত বাড়তে থাকে ,নিশ্চিন্তে ঘুমে বেবাক শহর
কোনো অন্ধকার গলির থেকে  শব্দ উঠে আসে ওয়াওয়া
কোনো সদ্যজাত প্রসুতি দুধ খোঁজে অভাবের মাঝে।
কোলের  সন্তানের মুখে মায়ের স্তন
হাতড়াতে থাকে শয়তান অন্ধকার।
মায়ের শরীর  পরিখার চেহারা পাওয়ামাত্র
ছোট ছোট পটকায় পাড়া মহল্লা ছয়লাপ  হয় আঁধার রাত্রি।
হ্যাট পরা মানুষেরা গটমট হেঁটে চলে যায় প্রভাতি পথে
মাইকে বাজতে থাকে সোহাগী  ঈশ্বরের স্তব
আবার একটা দিন।

জন্ম কালির  মতন  সেই ঠিক একই জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় সূর্য
চশমার সুতো ঠিকঠাক করতে থাকে হ্যাট পড়া  মানুষগুলো।
আমি পাথরের ভ্রুণে দেখতে থাকি হন্তারক পিতার রক্ত
ঠিক সেই সময় সেই অন্ধকার গলির শিশুটা  কেঁদে ওঠে
মা এগিয়ে আসে অন্য সভ্যতা হয়ে।

No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...