অনেকগুলো বছর
........... ঋষি
=====================================================
অনেকগুলো বছর বুঝলে কলি
ঠিক এমন করে কেটেগেলো বুঝে উঠতে পারলাম না।
এখন তো বিছানা থেকে উঠতে কষ্ট হয় ,আর্থারাইটিস ,দাঁড়াতেও পারি না
শুধু সামনে তোমার মালা পড়া ছবিটা দেখলে ,খুব ইচ্ছে করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে।
রোজ নিয়ম করে ডক্টর আসে দুবেলা ,খুব শক্ত রোগ বুঝলে,খুব যন্ত্রনা
বৌমারা নিয়ম করে দুবেলা ওষুধপত্তর দেয়,সেবা করে
কিন্তু আমার কলি শুধু মনে পরে।
এখন আমাদের এই ঘরটায় শুধু ওষুদের গন্ধ
আমাদের বিছানার পাশে একটা টেবিলে ভর্তি ওষুধের স্ট্রিপ , সিরাপ।
তোমার মনে পরে এই খাটটাকে,সেই বাসর রাত ,রজনীগন্ধার গন্ধ
আর তুমি ,মনে হয়েছিল সদ্য বাগান থেকে ছিঁড়ে আনা গোলাপের কড়ি।
তুমি তখন নতুন বৌ তখন ,একান্নবর্তী সংসার ছিল আমাদের
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর কারণ ,অকারণে তোমাকে ডেকে পাঠাতাম।
শুনতে পেতাম মা বলতো ,বৌ যেন আর কারো হয় না
বন্ধুরা ,অফিস কলিগরা টিটকিরি দিতো।
কি করবো আমি অপারক তখন ,তোমাকে ছাড়া যে আমার চলতো না।
যখন বুবু হওয়ার জন্য তুমি বাপের বাড়ি গেলে
আমি রোজ যেতাম ,তোমার খবর জানার অছিলায় তোমাকে দেখতে ,
তোমার বোনেরা বলতো এই বার তো রেহাই দেও দিদিকে।
দেখো তারপর হঠাৎ তুমি সীমা হওয়ার সময় রেহাই নিয়ে চলে গেলে
আর আমি আজও থেকে গেলাম তোমাকে ছাড়া।
ঠিক এমন করে কেটেগেলো এত গুলো বছর
এখন তো ছেলে ,বৌ ,নাতিপুতি ,আত্মীয়স্বজন ,ভরা সংসার।
কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেকে বড়ো একা লাগে ,মনে হয় এরা সকলে আমার কেউ নয়
তোমাকে তখন ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে ,সোজা জোর করে উঠে দাঁড়িয়ে তোমার ছবির সামনে।
তোমাকে আমার ভীষণ স্বার্থপর লাগে আজকাল কলি
কিভাবে তুমি আমাকে ছেড়ে এতদিন আছো ? আমিও আছি অবশ্য ,
তখন আমার ভীষণ কান্না পায়,শুধু তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে।
........... ঋষি
=====================================================
অনেকগুলো বছর বুঝলে কলি
ঠিক এমন করে কেটেগেলো বুঝে উঠতে পারলাম না।
এখন তো বিছানা থেকে উঠতে কষ্ট হয় ,আর্থারাইটিস ,দাঁড়াতেও পারি না
শুধু সামনে তোমার মালা পড়া ছবিটা দেখলে ,খুব ইচ্ছে করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে।
রোজ নিয়ম করে ডক্টর আসে দুবেলা ,খুব শক্ত রোগ বুঝলে,খুব যন্ত্রনা
বৌমারা নিয়ম করে দুবেলা ওষুধপত্তর দেয়,সেবা করে
কিন্তু আমার কলি শুধু মনে পরে।
এখন আমাদের এই ঘরটায় শুধু ওষুদের গন্ধ
আমাদের বিছানার পাশে একটা টেবিলে ভর্তি ওষুধের স্ট্রিপ , সিরাপ।
তোমার মনে পরে এই খাটটাকে,সেই বাসর রাত ,রজনীগন্ধার গন্ধ
আর তুমি ,মনে হয়েছিল সদ্য বাগান থেকে ছিঁড়ে আনা গোলাপের কড়ি।
তুমি তখন নতুন বৌ তখন ,একান্নবর্তী সংসার ছিল আমাদের
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর কারণ ,অকারণে তোমাকে ডেকে পাঠাতাম।
শুনতে পেতাম মা বলতো ,বৌ যেন আর কারো হয় না
বন্ধুরা ,অফিস কলিগরা টিটকিরি দিতো।
কি করবো আমি অপারক তখন ,তোমাকে ছাড়া যে আমার চলতো না।
যখন বুবু হওয়ার জন্য তুমি বাপের বাড়ি গেলে
আমি রোজ যেতাম ,তোমার খবর জানার অছিলায় তোমাকে দেখতে ,
তোমার বোনেরা বলতো এই বার তো রেহাই দেও দিদিকে।
দেখো তারপর হঠাৎ তুমি সীমা হওয়ার সময় রেহাই নিয়ে চলে গেলে
আর আমি আজও থেকে গেলাম তোমাকে ছাড়া।
ঠিক এমন করে কেটেগেলো এত গুলো বছর
এখন তো ছেলে ,বৌ ,নাতিপুতি ,আত্মীয়স্বজন ,ভরা সংসার।
কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেকে বড়ো একা লাগে ,মনে হয় এরা সকলে আমার কেউ নয়
তোমাকে তখন ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে ,সোজা জোর করে উঠে দাঁড়িয়ে তোমার ছবির সামনে।
তোমাকে আমার ভীষণ স্বার্থপর লাগে আজকাল কলি
কিভাবে তুমি আমাকে ছেড়ে এতদিন আছো ? আমিও আছি অবশ্য ,
তখন আমার ভীষণ কান্না পায়,শুধু তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে।
No comments:
Post a Comment