Sunday, July 30, 2017

বেজন্মা


বেজন্মা
............ ঋষি
=================================================
শৈশবের তৃষ্ণা
নিরন্তর জন্ম ,ভাষা ,দেশ সাক্ষী।
কোনো শৈশব গুঁড়িয়ে যদি তৈরী করে সভ্যতার তাজমহল
তবে সেই সভ্যতাকে  ধিক , সেই রাষ্ট্রের আগামী মৃত্যু এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
সময় কখনো অপেক্ষা করে নি
কিন্তু এই সময় মানুষকে দেখিয়ে যায় নিজের রূপ পরম্পরায়।

কি বেশ নাম ছিল ছেলেটা
লালু ,আমাদের পাড়ায়  ,পাড়ায় এমন লালু হাজারো আছে।
যার মুখে লেগে থাকে শৈশব থেকে শেখা খিস্তির বহর
যাকে এই সমাজ বেজন্মা বলে চেনে।
কি করে বাড়তে থাকে এরা ,কোথায় এদের জন্ম ,কে পিতা ,মাতা
এ সব প্রশ্ন এই সভ্যতায় নিরর্থক।
কারণ সবাই জানে ,পত্রপত্রিকার দরবারে হাজারো সভ্যতার কলম চিৎকার করে
চিৎকার করে আমাদের সমাজের কোনায় কোনায় এমন হাজারো জন্ম।
তবু এরা জন্মায়
কারণ জন্মানো একটা নিয়ম একটা রীতি।
তবু এরা বাঁচে ,এদের মৃত্যু আছে ,কিন্তু পরিচয়
এই সভ্যতার এরা ভীষণ অপ্রয়োজনীয় ,অদরকারী এক ঘটনা।

লালু এমনি এক নাম
যার জন্মের সাথে সে নিজেকে খুঁজে ফিরেছে প্রতিদিন রাতে।
প্রতি রাতে নেশা করে পাড়ায় খিস্তাখিস্তি ,চিৎকার ,মাতলামি
পৰ জ্বালিয়েছে।
আমার তোমার মতো যারা তাদেরই কেউ তাকে শাসন করতে গেছে
সে চিৎকার করে গালাগাল করেছে।
পাড়ার  ক্লাবে প্রতিটা পুজোতে বোকার মতো খেটেছে
পার্টি বদলের সময় কোথাও বন্দুক ,কোথাও মারামারিও করেছে।
বদলের খিদে বুঝলেন
একটা তৃষ্ণা ,একটা জ্বালা বুকের ভেতর আমৃত্যু বয়েছে।
হ্যা সে মারা গেছে
কাল রাতে একটা বুলেট তার সমস্ত জ্বালাকে নিভিয়ে দিয়েছে।

শৈশবের তৃষ্ণা
একটা বেজন্মা উপাধি ,রক্তের ভিতর খুঁজতে চাওয়া পরিচয়।
আমরা শুনতে পাই নি সেই চিৎকার,সেই বুক ফাটা হাহাকার
কারণ আমরা সামাজিক ,আমাদের ভোটারকার্ডে আমাদের পরিচয় আছে।
কিন্তু হা রাষ্ট্র এমন কিছু শৈশব ,এমন কিছু কচি হাত আজও হাতড়াচ্ছে
আজও খুঁজে পেতে চাইছে পরিচয় এই সমাজের রীতিতে। 

No comments:

Post a Comment

এইটুকু আলোর জন্য

ঈশ্বরকে বলি ম্যাজিক চাই  বলি মানুষে ঘরে বন্ধ দরজার শহরে আলো চায় চায় শুভেচ্ছা ,চায় পবিত্রতা  আর  সত্যি , বহুবার ভেবেছি সিগারেটের আগুনে পুড়ে য...