Friday, May 6, 2016

অনাবৃত দেহ

অনাবৃত দেহ
................. ঋষি
====================================================
আমি অনাবৃত দেহে নাড়াচাড়া  করছি কলঙ্ক
আকাশের চাঁদে মুখ থুবড়ে  থাকা আতঙ্ক।
শুনছি নাকি সাতদিন সূর্য উঠবে না আগামী কোনো দিনে
শুনছি আমেরিকার স্পেস উড়ানে  এক নতুন পৃথিবী তৈরী হবে।
আর আমি সেই একই আছি
এই পৃথিবীর দরজায় খালি হাত ,,আর হাতে কালি।

বিশ্বের দরজা ক্রমশ খুলে যাচ্ছে শহরের কাছে
তবু সেই মা আজও যখন সন্তান জন্ম দিতে যায় যন্ত্রনায় কুঁকড়ে থাকে
সেই ষোলো পেড়নো মায়ের বুকের কোয়াগুলো খুবলে খায় সময়।
কেউ নগ্নতা দিয়ে উত্তীর্ণ হয় সমাজের বুকে। .... সেক্সি নায়িকা কন্ডমের সাথে
কেউ কেউ কালো বোরখায় অন্ধকারে থেকে যায় অশিক্ষায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কেউ বগলবাজায়  নিজের পাঁচ তারার কামরায় বসে
কেউ ট্রেনের কামরায় অনবরত গান গায় কিছু রোজগারের আশায়।
অসম  বন্টন ,,অসম সিস্টেম ,,অসম মানুষ হীনমন্যতায়
আর স্বাধীনতা কেয়ার টেকারের ভূমিকায়

কিংবা পাহাড়ি ধসে যখন  শহরটা তলিয়ে যায়
সেখানে কি বিশ্ব একটা খবর শুধু।
কালমার্ক্স আর ফিরছেন না
গোর্কি আজও  শুধু দেওয়াল রাঙানো মানুষের বিজ্ঞাপন।
চে তাকে তো প্রায় দেখি গেঞ্জির গলায়
আর মানুষের গলায় ,,সভ্যতার অন্ধকার চেইন।
এই সব প্রশ্ন অর্বাচীন আমি জানি বিশ্ব ন্যাতাদের  কাছে
এই কবিতা সকলের টাইম পাশ শুধু।

আমি অনাবৃত লাশগুলো নাড়াচাড়া করছি
নিজের স্কেলিটনে তেল দিয়ে আরো চর্বি বাড়াচ্ছি।.
শালা নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
আর আমি বাঁকা উঠোনের জনতার প্রতিনিধি।
শুধু নেচে যাচ্ছি
দেশের উত্সব আই ,পি ,এলের  আগামী ম্যাচের প্রস্তুতিতে।

No comments:

Post a Comment

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...