Friday, May 6, 2016

জারজ

জারজ
............. ঋষি
==================================================
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে
সামনে দাঁড়ানো অনর্গল সময়  চিত্কার করছে।
মেয়েটা পুড়ে যাচ্ছে ,,জল আনো
শোনা যায় মেয়েটার রং কালো ছিল ,ছিল না তার কোনো পরিচয়।
কে ছিল এই মেয়েটা ?
আমারদের কারোর জারজ ,অনাহুত সমাজের  সন্তান।

কত বয়স ছিল তার ,সেই চৌদ্দ কি পনেরো
কানাঘুষায় শোনা যায় মেয়েটা ভালো ছিল না ,মানে আর কি চরিত্র।
আচ্ছা চরিত্র কাকে বলে ?
প্রশ্ন করেছিল মেয়েটা এক বয়স্ক পাড়ার ভদ্রমহিলাকে ।
উনি বলেছিলেন মেয়েদের চরিত্র মাগী সব  তলাতে থাকে
বুঝে পুরুষকে দিতে হয় আর বুঝেও নিতে হয় ।
অদ্ভূত ভাবে তাকিয়েছিল মেয়েটা
তাকে তো প্রায়ই গলি ,খুপ্চিতে যেতে হয় খিদের জ্বালায়।

সেবার তো বলয় কাকাকে বলেছিল মেয়েটা ,কাকু তুমি অসভ্য
জবাবে বলয় কাকা চেপে ধরেছিল তার বাড়তি অহংকার
প্রথমবার তারপর রক্ত ,,ভীষণ।
আরেকবার পাড়ার  বয়স্ক  নীহার  দাদু ডেকেছিল তাকে
তারপর এখানে ,সেখানে সোজা চেপে ধরেছিল বুক।
বলেছিল শান্ত কর মাগী ,,আমি তোকে অনেক দেবো
চেষ্টা করেছিল মেয়েটা পাওয়ার আশায় সাধ্যমত
উত্তরে  পেয়েছিল চুরি বদনাম।

এখন সেই মেয়েটা পুড়ছে,পুড়ছে তার পেটের সন্তানও
বাইরে দাঁড়িয়ে সময় অনর্গল কাঁদছে।
পাড়ার মেয়েলোকেরা বলছে ,,যাক ভালো  হয়েছে
এইটুকু মেয়ে পাড়ার জোয়ান ,বৃদ্ধকে জ্বালিয়ে খেলো ।
আর বলয় কাকা আর নীহার  দাদু স্বস্তির নিশ্বাসে মনে মনে বলছে
খুব বাঁচা বেঁচেছি আবার ,,না হলে মানইজ্জতের .....  

No comments:

Post a Comment

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...